
মাওলানা মুহাম্মদ রেজাউল করীম
- জীবনের প্রতি মমত্ববোধ জন্মগত। জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা মানুষের অন্যতম মৌলিক অধিকার। প্রত্যেক ধর্মেই জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তার বিষয়টি স্বীকৃত। কিন্তু সভ্যতার উচ্চ শিখরে উপনীত আধুনিক বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। দেশে দেশে এ সংকট তীব্ররূপ ধারণ করেছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন প্রণয়ন করেও হত্যা, খুন, ঘুষ, রাহাজানি, ধর্ষণ, অপহরণ, দখল-বেদখল রোধ করা যাচ্ছে না। সভ্যতাও গণতন্ত্রের সূতিকাগার বলে পরিচিত উন্নত রাষ্ট্রসমূহে এ সংকট বিদ্যমান। ইরাক্যারাকান, সিরিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, ফিলিস্তিন, বসনিয়া, চেচেনিয়া, কাশ্মীরের জনগণ জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিনাতিপাত করছে। জাতিসংঘ সনদের ধারা ১. উপধারা ৪ (ক), (গ), (ঘ), ধারা ১৩, উপধারা ১(ঘ), ধারা ৩৩, উপধারা (১); ধারা ৩৯; ৪১ ধারা ৪২; ধারা ৪৯ সরাসরি লংঘন করে যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন ইরাক ও আফগানিস্তানে হামলা করে। দোলা বর্তমানে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে উপনীত। পবিত্র কুরআন মজিদে এরশাদ হয়েছে,
وَلَا تَبْغِ الْفَسَادَ فِي الْأَرْضِ إِنَّ اللَّهَ لَا يُحِبُّ الْمُفْسِدِينَ
অর্থাৎ পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করো না; নিশ্চয়ই আল্লাহ অশান্তি সৃষ্টিকারীদের ভালবাসেন না।’ পনেরশ’ বছর পূর্বে মদিনার গণতান্ত্রিক ইসলামী রাষ্ট্রে সর্বস্তরের মানুষের জীবন ও সম্পদের পূর্ণ নিরাপত্তা বিধান করা হয়েছিলো।
খাদ্য ও আবাসন সংকট
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাশক্তিসমূহের ক্রমাগত পারমানবিক অস্ত্রের বিস্তার, ক্ষমতার দাপট, অহমিকা ও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববাসী তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আশংকা করেছিলো। কিন্তু বর্তমানে খাদ্য ও আবাসন সংকট তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের হুমকির চেয়েও বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী খাদ্যসংকট, খাদ্যাভাবে মৃত্যুবরণ, অনাহার, অর্ধাহার ও বুভুক্ষ জনতার মিছিল ক্রমাগত দীর্ঘ হচ্ছে। খাদ্য দ্রব্যের উর্ধ্বমূল্য খাদ্য ঘাটতি, আবাসন সংকট জ্যামিতিক হারে১৪
বাড়ছে। জাতিসংঘ খাদ্য ও কৃষি সংস্থার হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের ৩৫টি রাষ্ট্র সরাসরি খাদ্য সংকটে নিপতিত। রোমে অনুষ্ঠিত খাদ্য সম্মেলম্রেচলিত খাদ্য সংকট শীঘ্রই দূর হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে মন্তব্য করা হয়েছে। খাদ্য ও কৃষি সংস্থার মহাপরিচালক বলেছেন, বিশ্বে অস্ত্রখাতে যে ব্যয় হয় তার ৩ শতাংশ ব্যয় হ্রাস করলে পৃথিবীর ৮৫ কোটি দরিদ্র মানুষ উন্নত জীবন যাপন করতে পারবে।
এরূপ সংকট মূলত আল্লাহর গজব বৈ কিছুই নয়। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে,
مَا أَصَابَ مِنْ مُصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ
অর্থাৎ আল্লাহর আদেশ ব্যতীত কোনই আপদ বিপদ উপস্থিত হয় না। [সূরা তাগাবুন-১১।
তথ্যপ্রযুক্তির অপ-ব্যবহার ও আকাশ সংস্কৃতির কুফল
মানব কল্যাণেই তথ্যপ্রযুক্তির উদ্ভাবন। কিন্তু এর অপব্যবহারের কুফল ইতোমধ্যে পৃথিবীবাসী লক্ষ করেছে। স্যাটেলাইট চ্যানেল, ইন্টারনেট ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের মাঝে জ্ঞান ও শিক্ষার পাশাপাশি অশ্লীলতা, বেহায়াপনা, অরাজকতা ইত্যাদির বিস্তার ঘটে চলেছে। শুধু তাই নয়, আকাশ সংস্কৃতির কারণে নৈতিকতার অবক্ষয় হচ্ছে।
জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (UNESCO) সারা বিশ্বে শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উৎকর্ষ সাধনে নিয়োজিত থাকলেও অপসংস্কৃতি, নগ্নতা ও বেহায়াপনারোধে এ সংস্থার কোন পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। আকাশ সংস্কৃতির অপব্যবহারের মধ্য দিয়ে অর্জিত পাপরাশি সম্পর্কে সচেতনতা প্রয়োজন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে-
وَمَنْ يَكْسِبُ إِثْمًا فَإِنَّمَا يَكْسِبُهُ عَلَى نَفْسِهِ وَكَانَ اللَّهُ عَلِيمًا حَكِيمًا
অর্থাৎ “এবং যে কেউ পাপ অর্জন করে বস্তুত নিজের জন্য ব্যতীত উপার্জন করেনা; এবং আল্লাহ মহাজ্ঞানী বিজ্ঞানময়।”সূরা নিসা-১১১]
কুরআনের অন্যত্র রয়েছে-وَمَنْ يَعْمَلْ سُوءً يُجْزَبِهِ وَلَا يَجِدْ لَهُ مِنْ دُونِ اللَّهِ وَلِيًّا وَلَا نَصِيرًا অর্থাৎ “যে অসৎকর্ম করবে সে তার প্রতিফল পাবে এবং সে আল্লাহর পরিবর্তে কাকেও বন্ধু অথবা সাহায্যকারী প্রাপ্ত হবে না। (সূরা নিসা-১২৩।
প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পরিবেশের ভারসাম্য বিনষ্ট
মহান রাব্বুল আলামীন এ পৃথিবীকে ভারসাম্যপূর্ণরূপে সৃষ্টি করেছেন। গাছপালা, তরুলতা ও বিবিধ প্রাণী মূলত পৃথিবীর প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষার নিমিত্ত্বেত্ত মানুষের কল্যাণে সৃজিত। মানুষের ক্রয়াত সীমালংঘন, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য বিনষ্ট, অরণ্যরাজি উজাড়, উজোনস্তর ক্ষয়, গ্রীন হাউস এফেক্ট, জনসংখ্যা বৃদ্ধি, শব্দ দূষণ, যুদ্ধ বিগ্রহ, ইত্যাদি কারণে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে; বিনষ্ট হয়েছে পরিবেশের ভারসাম্য। ফলে খরা, ভয়াবহ বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, ভূমিকম্পন, সংঘটিত হচ্ছে। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে-
وَمَا كَانَ رَبُّكَ مُهْلِكَ الْقُرْبِي حَتَّى يَبْعَثَ فِي أُمِّهَا رَسُولًا يَتْلُوا عَلَيْهِمْ آيَتَنَا وَمَا كُنَّا مُهْلِكَى الْقُرَى إِلَّا وَأَهْلُهَا ظَالِمُونَ
অর্থাৎ, হে রসূল সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলায়হি ওয়াসাল্লাম আপনার প্রতিপালক সে পর্যন্ত কোন লোকালয়কে ধ্বংস করেন না; যে পর্যন্ত না তার সদর স্থানে কোন রসূল প্রেরণ করেন। যিনি সে জনপদবাসীর নিকট আমার আয়াতসমূহ পাঠ করেন। আর যে সব জনপদের অধিবাসী জালিম, আমি শুধু তাদেরকেই ধ্বংস
করি। [সূরা কাছাছ, আয়াত ৫৮]।
পবিত্র কুরআনে অন্যত্র বলা হয়েছে-
أَنَّهُمْ يُفْتَنُونَ فِي كُلِّ عَامٍ مَرَّةً أَوْ مَرَّتَيْنِ ثُمَّ لَا يَتُوبُونَ وَلَاهُمْ يَذَّكَّرُونَ اَ ولا يَرَوْنَ
অর্থাৎ, তারা কি দেখে না যে, তারা প্রতিবছর একবার অথবা দু’বার বিপদগ্রন্থ হয়। তারপরও তারা তাওবা (ক্ষমাপ্রার্থনা) করে না এবং তারা উপদেশও গ্রহণ করে না। [সূরা তাওবা-১২৫]
জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস
মানুষ শান্তি প্রত্যাশী। কিন্তু মানব রচিত আইন, সংবিধান, নীতিমালা ও জীবনবিধান পূর্ণাঙ্গ ও অভ্রান্ত নয়। ফলে মানুষ নির্যাতিত, নিগৃহীত হতে থাকে। এ থেকে উত্তরণে শান্তি, মুক্তি ও অধিকারের নিমিত্তে দেশে দেশে বিভিন্ন কারণে গড়ে ওঠেছে অসংখ্য গেরিলা বাহিনী, গোষ্ঠী ও সন্ত্রাসী দল। সরকার ও রাজনৈতিক দল এসব গোষ্ঠীকে নিজস্বার্থে ব্যবহার করে থাকে। বিশ্বের সুপরিচিত প্রায় শতাধিক গেরিলা বাহিনী, সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ও জঙ্গীবাদী দলের তাণ্ডবে অসংখ্য নিরীহ নরনারীর জীবন দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত হত্যা খুন, সন্ত্রাসী-হামলা, লুটতরাজ চলছে।
এসব বাহিনী ও গ্রুপের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো লর্ডস র্যাজিস্ট্যান্স আর্মি (উগান্ডা), লর্ডস আর্মি (মায়ানমার), এস,এল,এফ,টি, উলফা (ভারত), অমশিং রিও (জাপান) মাওবাদী গেরিলা (চীন), এ,ইউ,সি (কলম্বিয়া), তালেবান (আফগানিস্তান), ফোর্স সেভেনটিন, হিজবুল্লাহ (লেবানন), এল,টি,টি,ই (শ্রীলংকা), সাইনিং পাথ গেরিলা (দক্ষিণ আফ্রিকা) জে,কে, এফ, এল, ইনকাথা (কাশ্মীর) এম.আর.টিএ (পেরো) পি,কে,কে, (তুরস্ক), ফেসিলিন (ইন্দোনেশিয়া), আই, এস (মধ্যপ্রাচ্য)। বিভিন্ন দেশে নিজেদের স্বার্থে অথবা অবস্থার কারণে গড়ে তোলা হয় গেরিলা দল, সন্ত্রাসী বাহিনী। ২০০৫ সালে বাংলাদেশে একসাথে ৬১ জেলায় জঙ্গীরা বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম এবং অনেক মানুষ হত্যা করে। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে-مَنْ قَتَلَ نَفْسًا بِغَيْرِ نَفْسٍ أَوْ فَسَادٍ فِي الْأَرْضِ فَكَأَنَّمَا قَتَلَ النَّاسَ جَمِيعًا وَمَنْ أَحْيَاهَا فَكَانَّمَا أَحْيَا النَّاسَ جَمِيعًا
অর্থাৎ “যদি একজন অন্যজনকে হত্যা করে অথবা পৃথিবীতে অশান্তি সৃষ্টি করে তবে সে যেন সমস্ত লোককে হত্যা করল; বরং যে কারো জীবন রক্ষা করল, সে যেন সকলের জীবন রক্ষা করল [সূরা মায়েদা- ৩২।
সভ্যতার সংকট
পৃথিবীর বর্তমান আনুমানিক বয়স প্রায় ৪৫০০ মিলিয়ন বছর। পৃথিবীতে মানববসতি গড়ে ওঠার পর হতে ইতোমধ্যে পৃথিবীবাসী সিন্ধুসভ্যতা, মিসরীয়সভ্যতা, সুমেরীয় সভ্যতা, ইজিয়ান সভ্যতা, চৈনিক সভ্যতা, জেরিকা সভ্যতা, হিটটাইট সভ্যতা, ব্যবিলনীয় সভ্যতা, শাংচাইনা সভ্যতা, অলমিক সভ্যতা, এ্যাসিরিয়ান সভ্যতা, ক্ল্যাসিক্যাল গ্রীক সভ্যতা, রোমান সভ্যতা, মায়া সভ্যতা, বাইজাইনটাইন সভ্যতা, নায়া সভ্যতা ও ইসলামী সভ্যতার সাথে পরিচিত হয়েছে। এ সকল সভ্যতা ও সংস্কৃতির পরশে মানবজাতির শিক্ষা-দীক্ষার ক্ষেত্রে বহু অগ্রগতি সাধিত হয়েছে। কিন্তু ইসলামী সভ্যতা ছাড়া বাকি সকল সভ্যতা ও সংস্কৃতি মানবগড়া জীবনাদর্শ অনুসরণ, মূর্তিপূজা, ত্রিত্ববাদ, বহুত্ববাদ, জড়বাদী সভ্যতায় বিশ্বাস ও অনুকরণপ্রিয়। ফলে বিশ্বে সভ্যতার সংকট মারাত্মক রূপ ধারণ করেছে। পবিত্র কুরআন মজিদে এরশাদ হয়েছে-
وَالَّذِينَ يَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَا يَخْلُقُونَ شَيْئًا يُخْلَقُونَ
অর্থাৎ ‘এবং তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে যাদেরকে (অর্থাৎ মূর্তি ও দেবদেবীকে) আহবান করে তারা কিছুই সৃষ্টি করতে পারে না এবং তারা (প্রতিমারা) নিজেরাই সৃষ্ট হয়েছে।’ [সূরা নাহল-২০]
কুরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে-
إِنَّ الَّذِينَ تَدْعُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ لَنْ يَخْلُقُوْ ذُبَابًا
অর্থাৎ ‘নিশ্চয়ই আল্লাহকে পরিত্যাগ করে তোমরা যাদেরকে (মূর্তি, দেব-দেবী, অগ্নি, জীবজন্ত, তরুলতা) আহবান কর; তারা একটি মক্ষিকাও সৃষ্টি করতে পারে
না।।সূরা হজ্ব-৭৩]
ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে বিভ্রান্তি
ইসলাম ধর্মের আবির্ভাবের প্রাক্কালে তৎকালীন সমাজের কায়েমী স্বার্থবাদীরা ইসলামের বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল। তারা ইসলামের মর্মবাণীর গভীর তাৎপর্য অনুধাবন করেই স্বীয় স্বার্থে ইসলামের বিরোধিতায় লিপ্ত ছিল। বর্তমানেও ইহুদী, খ্রিষ্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ, শ্যামবাদী, কনযুমীয়, বাহাই, জ্যৈন, শিপ্টোবাদীসহ বিভিন্ন মতবাদে বিশ্বাসী নাস্তিক্যবাদী শক্তি ইসলাম ধর্মের সত্যতা, বাস্তবতা, মানবত্ব, গ্রহণযোগ্যতা, শান্তিপ্রিয়তা ইত্যাদি সম্পর্কে১৮
সম্পূর্ণরূপে জ্ঞাত হওয়া সত্ত্বেও ইসলাম ও মুসলমান সম্পর্কে পরিকল্পিতভাবে অপপ্রচারে লিপ্ত। বিশ্বে ইহুদি, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য ধর্মের অনুসারীও তাদের দোসররা গেরিলা হামলা, জঙ্গী তৎপরতা ও মানবতার বিরুদ্ধে অহরহ জঘন্যতম বর্বরতায় মেতে ওঠলেও, সব দোষ ইসলাম ওনিরীহ মুসলমানদের উপর চাপিয়ে দিয়ে সমস্যা ও সংকট সৃষ্টি করা হচ্ছে। অথচ তারা প্রকাশ্য বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে-
الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ ال
اوْلَائِكَ هُمْ شَرَّ الْبَرِيَّةِ
অর্থাৎ নিশ্চয়ই গ্রন্থানুগামীগণ ইহুদী, খ্রিষ্টান ও অংশীবাদীদের (মূর্তি ও অগ্নি উপাসকদের) মধ্য হতে যারা (আল্লাহ রাসুল ও সত্য-ধর্ম ইসলাম) অবিশ্বাস করেছে, তারা নরকাগ্নির মধ্যে সর্বদা অবস্থান করবে। তারাই নিকৃষ্টতর সৃষ্টি। সূরা বায়েনাত-৬)