প্রবন্ধ

কাজী মুহাম্মদ মুঈন উদ্দীন আশরাফী
শায়খুল হাদীস,সোবহানীয়া আলীয়া মাদ্রাসা,চট্টগ্রাম।
চেয়ারম্যান-আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআত,বাংলাদেশ।

গাউসুল আযম মাইজভান্ডারী শাহসূফি মাওলানা সাইয়্যেদ আহমদুল্লাহ (ক:) এর অন্যতম খলিফা হযরত শাহসূফি কাজী আছাদ আলী (ক:) এর আস্তানা শরীফ আহলা দরবার বোয়ালখালী,চট্টগ্রাম থেকে মাসিক ‘আল-ইসতিয়াব’ নামে মাসিক অনলাইন পত্রিকার শুভ উদ্বোধন হচ্ছে জেনে বেশ খুশি লাগছে।সময়ের চাহিদা পূরণে এমন উদ্যোগ অবশ্যই প্রশংসনীয়।মহান আল্লাহ এ উদ্যোগকে কবুল করুন এবং অব্যাহত রাখার তৌফিক দান করুন।
উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার করেছেন আউলিয়া কেরাম,পীর-বুযুর্গ,সুফী দরবেশগণ।এটি ঐতিহাসিক সত্য।অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই।আজ তাঁদের মিশন ছিল ইসলাম এর মূলধারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামআত এর আকিদা আদর্শ
তার উজ্জ্বল প্রমাণ হলো আজ অবধি পীর আউলিয়া কেরামের প্রতি শুধুমাত্র সুন্নী মুসলমানরাই শ্রদ্ধাশীল।মুসলমানদের মধ্যে বিরাজমান অন্য কোনো সম্প্রদায়ের অনুসারীগণ শ্রদ্ধাশীল তো নয়ই,বরং তাঁদের অবদান ঐতিহাসিক হবার কারণে অস্বীকার তো করতে পারে না।তাই নানা অজুহাতে এ সত্যকে ধামাচাপা দেয়ার ষড়যন্ত্র করে।তারা বক্তব্য-বিবৃতিতে কখনো আউলিয়া কেরামের অবদানকে তুলে ধরে না।এটি তাদের গোমরাহির অন্যতম লক্ষণ।
এদেশে ইসলাম প্রচারক আউলিয়া কেরামের মাজার শরীফ সমূহ ইসলাম প্রচারের ইতিহাসের অন্যতম মূল উপাদান।ফলে বাতিল সম্প্রদায়ের অনুসারীগণ এগুলো ধ্বংসের সুযোগ খোঁজে।বর্তমানে ক্ষমতায় না এসেও সুযোগ পেয়েই তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে।ক্ষমতায় আসলে কি করবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।এ বিষয়টি অনেকদিন আগে থেকেই এ অধম বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রবন্ধে বিস্তারিত উপস্থাপন করেছি এবং সুফীবাদী সুন্নী মুসলমানদের সাংগঠনিক শক্তি অর্জনের পরামর্শ দিয়েছি।কে কার কথা শোনে?আজ আমার আশংকা বাস্তবে রূপ নিচ্ছে।
এখনো সুন্নীগণ সংখ্যাগরিষ্ঠ।অসংগঠিত সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কিছু করতে পারে না।আর সংগঠিত অল্প সংখ্যক মানুষও অনেক কিছু করতে পারে।যা আজকে দিবালোকের মত স্পষ্ট।অতএব সুফীবাদী সুন্নী মুসলমান অরাজনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত না হলে অস্তিত্ব প্রচন্ড হুমকির মুখোমুখি হবে নিশ্চিতভাবে।সবাইকে বিষয়টি আন্তরিকভাবে উপলব্ধি করার অনুরোধ রইল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *